বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি ‘ইডিপাস’কি বাস্তবিক আমাদের কাঁদিয়েছে? ‘ইডিপাস’নিজে কেঁদেছে, কারণ নির্মম ভাগ্যের হাত থেকে সে পরিত্রাণ চেয়েও পায় নি। পাঠক শুধু বিস্মিত হয়েছে তার ভাগ্যের পরিহাস দেখে। কিন্তু একবিংশ শতকে বসে হাসান আজিজুল হক যখন বিংশ শতকের গোড়ার দিকের একটি নিষ্ঠুর নারী নির্যাতনের কাহিনি অসাধারণ শিল্পকুশলতায় ফুটিয়ে তুললেন তাঁর ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এ তখন তা দেশকাল ছাপিয়ে মর্মমূলে গিয়ে বিঁধে। একদিকে উলঙ্গ লালসা, আর অন্যদিকে উৎপীড়িতের নিঃশব্দ ক্রন্দন, এবং শূন্যতার মধ্যে দেহহীন অস্তিত্বের এক আশ্চর্য আখ্যান এই ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’। এ উপন্যাস বাংলা উপন্যাস-সাহিত্যে এক অভিনব মাত্রা সংযোজন। সমগ্র মানবজীবনকে ধারণ করাই উপন্যাসের কাজ। আর এতে যেহেতু জীবনের বিচিত্র বিন্যাস থাকবে তাই এর পরিধি বিস্তৃত হওয়াই স্বাভাবিক। কাজেই একজন লেখকের পক্ষে জীবনটা ঠিকঠাক বুঝে নিয়ে একজীবনে দু-তিনটির বেশি প্রকৃত উপন্যাস লেখা প্রায় ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। হাসান আজিজুল হক সেদিকেই হাঁটছেন। ছোটোগল্পের তিনি রাজপুত্র, উপন্যাসিকাও আছে তাঁর কয়েকটি, কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁর উপন্যাস মাত্র দু-টি- ‘আগুন পাখি’ও ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’। দু-টিই হাসানীয় বৈশিষ্ট্যে অনন্য।
‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর ষোল বছরের কিশোরী সাবিত্রী যেন নিপীড়িত মা বোন কন্যার মূর্ত প্রতীক। লেখক তাকেই উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন তার কাছে ক্ষমা চেয়ে। ক্ষমা কেন? কারণ হয়ত এই যে এমন একটি কাহিনি তাঁকে নির্মাণ করতে হলো যাতে নারীর অসহনীয় অপমানের ছবি আঁকতে হয়েছে। সত্যানুসন্ধানী হাসান বাস্তবতাকে আড়াল করে পাঠকনন্দিত হতে চান নি। বরং নিজে একজন পুরুষ হয়েও নির্দ্বিধায় উদ্ঘাটন করেছেন পুরুষজাতির বর্বরতা ও নীচতার অতলতা। পুরুষ যে পশুরই এক রূপ এবং দেশ-কাল-পাত্র ভেদে খুব বেশি পার্থক্য তাদের মধ্যে নেই এবং কখনো কখনো মুখোশের অন্তরালেও সেই একই পশুবৃত্তিচর্চাতেই তারা নিবেদিত সে কথাই বললেন লেখক তাঁর সাবিত্রী কথকতায়। দু-তিনটি সৎ সংযমী পুরুষ চরিত্র তাঁর উপন্যাস অবশ্যই আছে যেমন আছেন আমাদের বাস্তব জগতেও, যাঁরা শ্রদ্ধেয় তাঁদের মনুষত্ব গুণের জন্য। কিন্তু সেই নমস্য দু একজন পারছেন না পুরুষের পশুবৃত্তির ইতিহাস পালটে দিতে।
উপন্যাসটি আগাগোড়া পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ভাষার কাঠিন্য বা কাহিনির জটিলতা নয়, পুরুষের নির্লজ্জ নির্দয় রূপ দেখতে এবং নারীর অসহায়তাকে মেনে নিতে এই কষ্ট। ধর্ষক, প্রতারক ও উত্যক্তকারী পুরুষকে লেখক মনুষ্যশ্রেণিভুক্ত করে রাখেন নি তাঁর উপন্যাসে, তাদের লালাসিক্ত মুখ এত কুৎসিত যে তিনি তাদেরকে নিম্নশ্রেণির জন্তুর পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছেন। দূর্গাপদ- বটকৃষ্ণ-সবুর সাবিত্রীর উপর টর্নেডো চালানোর পর তাদের সম্পর্কে লেখক বলেছেন-
মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে সাবিত্রী, তিনদিকে তারা তিনজন, তিনটে ষন্ডা শুয়োর। একমাত্র সাবিত্রীরই মাথা উঁচু, বাকিরা মাথা নামিয়ে আছে। [পৃ. ৩৯]
হাসানের অসাধারণত্ব এখানেই। নারীকে পুরুষ ধূলায় মিশিয়ে দিতে চাইলেও সে যে আপন মহিমায় উন্নতমস্তক, অন্যায়কারীর বর্বরতার শিকার সে, নিজে সে অপাপবিদ্ধা সেটাই তিনি দেখালেন। পশুর দলকেও নিজেদের সম্পর্কে বলিয়েছেন-
আমরা শালা ঠিকঠাক পাঁঠা হতে হতে মানুষ হয়ে গিয়ে কি বিপদেই না পড়লাম। পাঁঠা ভালো, মানুষ-পাঁঠা মহা জবরজং। [পৃ. ৫০]
সাবিত্রীকে দিয়ে তিনি ভাবাচ্ছেন-
এই শুয়োরের বাচ্চারা কোথা থেকে এসেছে? এরা কি মেয়েমানুষের পেট থেকে জন্মেছে, নাকি কুকুর যেখানে পেচ্ছাব করেছে, সেখানকার মাটি থেকে জন্ম নিয়েছে? [পৃ. ৫৮]
পালের গোদা কামুক দূর্গাপদকে সাবিত্রী দেখছে এভাবে-
ঠিক ভাদ্র মাসের কুকুরের মতো দেখাচ্ছে না দূর্গাকে। টিকটিকির মতোই লাগছে তাকে। …ঠিক কোন জানোয়ারের মতো দেখায় পুরুষ মানুষের মুখ! পৃথিবীর কোন জন্তুই নেই এ রকম। [পৃ. ৫৯-৬০]
এক পর্যায়ে সবুরের ঘাড়ে সাবিত্রীকে চাপিয়ে দিয়ে দায় সারা হয়েছে দূর্গা-বটা। সাবিত্রীকে খুন করে ঝামেলামুক্ত তারা হতে পারে নি গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে ভেবে। সাবিত্রীকে নিয়ে এক স্থান থেকে অন্যত্র পালিয়ে বেড়ানো ধর্ষক সবুরের অবস্থা-
মার খাওয়া নেড়ি কুকুরের দশা সবুরের। শরীরটা পচা পানিতে ভিজে ন্যাতা, ল্যাজটা দু’পায়ের মাঝখানে চেপে ধরে রাখা … । [পৃ. ১০৩]
অন্যদিক সাবিত্রীর ভেতরের ও বাইরের কষ্টগুলো প্রখর অনুভূতিশীল হাসান আজিজুল হক শব্দ আর বাক্য দিয়ে বের করে এনে পাঠকের সামনে মেলে ধরেছেন। কিন্তু কষ্টের কারণে সে কি মরে যাবে? যখন কেউই বেঁচে থাকাটা ছাড়ছে না, সে কেন ছাড়বে? সে তো কোনো দোষ করে নি। যখন সে নিঃসঙ্গ সে চাইছে তার শিশু বয়সে হারানো মাকে অথবা মার মৃত্যুর পর যে হাড়িদিদির কাছে সে মানুষ হয় সেই নিশিবালা তার কাছে আসুক। কিন্তু তার স্বামী দু কড়ি চট্টোপাধ্যায় আসুক তা সে আর চায় না কারণ পুরুষজাতির প্রতি তার তীব্র ঘৃণা জন্মেছে। তার স্বগতোক্তি-
পিথিমির মদ্দা কোন শুয়োর যেন তার কাছে না আসে। [পৃ. ১২৭]
কিন্তু তবু আসে। ভদ্রবেশী সৈয়দ আশ্রয় দিয়েছিল, পালিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে কিন্তু সেও পারে না তার কুৎসিত প্রবৃত্তিকে সাবিত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখতে। তাই মনে হয় একজন নারীর কাছে আর কিছু চাইবার নেই পুরুষের শুধু শরীর ছাড়া। স্ত্রী, সন্তান, ধন, মান এসব কিছুই তার কু-প্রবৃত্তিকে লাগাম পরায় না। সে যে এক জান্তব অস্তিত্ব সেটাই তার সবচেয়ে বড় পরিচয়।
চাচাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে থাকা হুদা সাবিত্রীর কাছে চিড়িয়াখানায় দেখা অজগর সদৃশ হয়ে ওঠে। পশু না সরীসৃপ- কোনটা বেশি ঘৃণ্য বা বীভৎস সাবিত্রীর মতো পাঠকের মনেও এ প্রশ্ন জাগবে। অবশেষে হুদার এক বয়স্ক মামাও বাদ পড়ে না সাবিত্রীর শরীরের ভক্ষক হতে। এক পর্যায়ে জগৎ সম্পর্কে সাবিত্রীর আর কোনো আগ্রহ থাকে না। ষোল বছর বয়সেই সে জেনে গেছে কত কদর্য এই পুরুষ জাতি আর কি নিষ্ঠুর এই পৃথিবী। সাবিত্রীর প্রতি অত্যাচারের একটি প্রচলিত বিচার-প্রক্রিয়া ঔপন্যাসিক এখানে দেখিয়েছেন, কিন্তু তা সাবিত্রী কোনো সুবিচার পাবে বলে নয়, কারণ তার প্রতি যে অবিচার হয়েছে তা কোনো মূল্যেই পারিশোধযোগ্য নয়, বরং এই বিচারের ছুতোয় দেখানো গেছে অপরাধীরা কেউ কেউ স্বল্প মেয়াদের সাজা ভোগ করলেও একদিন ছাড়া পেয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে, সমাজও একদিন তাদের এই অপরাধের কথা ভুলে যাবে, কিন্তু সাবিত্রীর ছেঁড়াখোঁড়া জীবন মিথ্যা কলঙ্ক আর কোনোদিনই স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়। তার দেহ-মনের ক্ষত কোনোদিন শুকাবে না। বিশেষ করে পুরুষশাসিত সমাজে তার যে মিথ্যা কলঙ্ক তা কি কোনোদিন মোচন হবে?
অবিভক্ত বাংলার প্রধান দুই সম্প্রদায়- হিন্দু-মুসলমান তাদের নিজস্ব বিশিষ্টতা নিয়ে এ উপন্যাসে উপস্থিত। হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, দুই সম্প্রদায়ের সামাজিক রীতিনীতি ও রুচির পার্থক্য দারুণ দক্ষতায় বর্ণনা করেছেন ঔপন্যাসিক। মুসলমান গ্রামগুলো শিক্ষায় কতটা পিছিয়ে আছে তার উল্লেখ করেছেন এক বাক্যে অনন্য ব্যঞ্জনায়। বলেছেন, গাঁয়ে একটি অক্ষর ঢুকতে পারে না। [পৃ. ৮৮]
তৎকালীন পারিপার্শ্বিক সামাজিক ও রাজনৈতিক যে সব বড়ো বড়ো ঘটনার আভাস দিয়েছেন ঔপন্যাসিক তার কোনো অভিঘাত পৌঁছায় না সাবিত্রী পর্যন্ত। কারণ সে তো মানুষ নয়, এক ভুঁইচাঁপা ফুল। যার সুবাস কেড়ে নিতে তৎপর পশুর দল। অর্থাৎ মানুষেরই জন্য সবকিছু অথচ মানুষ পায় না তার ফল, এই সত্য উদ্ভাসিত করেছেন লেখক তৎকালীন আইন-নীতি-চুক্তি-লীগ প্রভৃতির বর্ণনায়। বিচারিক প্রক্রিয়াও যে আসলে চক্ষুধৌতকরণ এক ব্যবস্থা, বাদি-বিবাদির জীবনে অফলপ্রসূ তারই এক চিত্র এখানে সংযোজিত করেছেন দালিলিক প্রমাণাদিসহ। আসলে এসব কিছুরই উদ্দেশ্য বাস্তবতাকে স্পর্শ করতে চাওয়া, যা তিনি তাঁর সারাজীবনের সাহিত্যকর্মে করে এসেছেন। দয়াহীন সংসারে নিপীড়িতের হয়ে কথা বলা, যারা আপাতদৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত পরাজিত তাদের অন্তর্নিহিত অপরাজিত সত্তাকে মহিয়ান করে তোলা তাঁর স্বভাবজ প্রবৃত্তি।
অনন্য কিছু তুলনা এবং বর্ণনা এ উপন্যাস পাঠকের উপরি পাওনা। জীবনের গভীর তলদেশ পরিমাপের জন্যই তাঁর লেখা এবং সেক্ষেত্রে তিনি দক্ষ ডুবুরী। কষ্টের কূল কিনারা যখন পায় না সাবিত্রী তখন তাকে দিয়ে তিনি নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দেবার কল্পনা করিয়েছেন ।
নিজেকে সে শূন্যে মিশিয়ে দিতে চায় এদের কাছে থেকে- শূন্য হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যাচ্ছে না কেন সে? [পৃ. ৬০]
সাবিত্রীর কষ্টে মুহ্যমান অবস্থার বর্ণনায় বলেছেন-
কঙ্কালের তৈরি শরীরে হাঁটছে, নিজের হাত পা খুলে খুলে মাটিতে ফেলে সেখানে বসে মহা দোটানায় পড়ে ভাবছে। সব আছে, শুধু শব্দ নেই। কতো জিনিস দেখতে পাচ্ছে, একটাও চেনে না, এসব জিনিসের নাম এখনো আমি শিখিনি। [পৃ. ৬৪]
বেহুদা হুদার বাড়ি শহরে, সেই বাড়ির অদ্ভুত চরিত্র বোঝাতে যে উপমা তিনি ব্যবহার করেছেন তা তাঁর স্বকীয়তার দৃষ্টান্ত।-
শহরের যেদিকটায় আলো একরকম নেই-ই- শরীরের অর্ধেকটা প্যারালিসিস হয়ে যাওয়া রোগীর মতো, নিথর পড়ে রয়েছে, সেদিকটায় হুদার বাড়ি। [পৃ. ১৯৪]
এমন অসংখ্য উদাহরণ ছড়িয়ে আছে এ উপন্যাসে, যা পড়তে পড়তে পাঠকের দিব্যদৃষ্টি খুলে যাবে নিশ্চয়।
অবশেষে এক জীবন্ত মৃতদেহ হয়ে সবার অবহেলা ও অপবাদ সয়ে ধীরে ধীরে বার্ধক্যে পৌঁছায় সাবিত্রী। আখ্যানের সূচনাতেই যার উল্লেখ পাঠককে বলে দেয় এ কোনো প্রথামাফিক উপন্যাস নয়। বার্ধক্যের চিত্র এখানে মর্মান্তিক। ভালোবাসাহীন এক জীবন সে অতিক্রম করেছে। একমাত্র সেই হাড়িদিদি যার প্রকৃত নাম নিশিবালা, যে তাকে আগলে রেখেছিল মাতৃস্নেহে অথচ রক্ষা করতে পারে নি প্রতারক পৃথিবীর হাত থেকে তারই স্মৃতি সে লালন করে মনে এখন। ভাই এর আশ্রয়টুকুই সে শুধু পেয়েছিল, পায় নি তার স্নেহ। বাবা-ভাই-স্বামী-শ্বশুর কেউ তার আপন হয় নি। বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে এক পর্যায়ে। জ্যোৎস্নার আলো তার অসহ্য হয়, কারণ এক পূর্ণিমারাতেই তার জীবনে নেমে এসেছিল অমানিশার আঁধার। তাই অমাবস্যা তার কাছে স্বস্তির। নিজের এবং জগতের কোনো খেয়ালই যখন তার থাকে না তখনও-
আশ্চর্য শুধু একটি কথাই, বুড়ি নিয়ম মাফিক জিজ্ঞেস করে, এখন চাঁদের পক্ষ চলছে, না অমাবস্যার পক্ষ চলছে? আলোর পনের দিন, না অন্ধকারের পনের দিন? অন্ধকারের পক্ষ শুনলেই নিশ্চিন্ত। … পূর্ণিমা কেন হয়, পূর্ণিমা কেন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয় না। তেমন সময় কি কোনো দিন আসবে না, শুধুই অমাবস্যা, আঁধার! [পৃ. ৯-১০]
শুধু পুরুষের লোভের নয়, নারীরও ঈর্ষার কারণ ছিল যে সাবিত্রী, তাকে মানবেতর অস্তিত্ব নিয়ে অন্যের দয়ার পাত্রী হয়ে বাঁচতে হলো। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হলো তাকেই, অপরাধীদের নয়, কারণ সে নারী, কারণ সে বেঁচে আছে মরে না গিয়ে ! এখানে দর্শনটা কি এটাই যে দোষীর জন্য পৃথিবীতে কোনো শাস্তি নেই, নিয়তি বা পৃথিবী খড়গহস্ত শুধু অসহায় ও উৎপীড়িতের উপরই, জানিনা আমরা। হাসান আজিজুল হক কিন্তু অপরাজিতা সাবিত্রীর সম্পর্কে জানেন- এই ভাঙ্গাচোরা চূর্ণ-বিচূর্ণ সাবিত্রী তার দেহটিকে বিনাশ থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও আটকাতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে একজন অনশ্বর সাবিত্রী। [পৃ. ২২২]