রবীন্দ্রনাথের সাথে প্রাগের সমন্বয় ঘটানোর পেছনে সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা ছিল এক চেক কবি ভিনসিন লেসনি (Vincenc Lesny)’র। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে তাঁর দাওয়াত আসতো। এ রকম এক দাওয়াতে, ১৯২০ সালে, লন্ডনের এক কবি সম্মেলনে তাঁর দেখা হয়েছিল লেসনির সঙ্গে।
এক পর্যায়ে লেসনি কবিগুরুকে তাঁর নিজের শহর প্রাগ-এ আসার জন্য দাওয়াতও করেছিলেন। এই দাওয়াত রক্ষার জন্য ১৯২১ সালে তখনকার চেকোস্লোভাকিয়ার রাজধানী প্রাগ শহরে রবীন্দ্রনাথ প্রথম যান। এর পরের ঘটনাসমূহ খুব সহজ-সরল। লেসনি প্রাগ থেকে তল্পিতল্পা নিয়ে হাজির হয়ে যান শান্তিনিকেতনে। ১৯০১ সালে ব্রাক্ষ্ম বিদ্যালয় নামে ৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে তৈরি হওয়া শান্তিনিকেতন ততদিনে বিশ্বভারতীতে রূপ নিয়েছে। লেসনি তখন বিশ্বভারতীর অবৈতনিক অধ্যাপক।
রবীন্দ্রনাথ প্রথম প্রাগে এসেছিলেন ১৯২১ সালের ১৮ জুন। ছিলেন অনেক দিন। এই প্রাগ এমনই একটা শহর, যেখানে অনেক দিন থাকা যায়। রবীন্দ্রনাথের পাখির মতো মন ছিল, বউ ছিল না, বাচ্চাদের নিয়েও চিন্তা নেই, এবং তিনি তখন নোবেল পুরস্কার-বিজয়ী কবি। তাঁর খাতিরই আলাদা। আমাদের মতো প্রতিরাতে তাঁর হোটেলের বিল গোনার চিন্তা ছিল না।
আমি নিশ্চিত, এই শহরের প্রকৃতি, পুরনো দালান এবং তার ভলতাভা নদীর রূপ কবিকে আচ্ছন্ন করেছে। রবীন্দ্রনাথ নিশ্চয়ই প্রাগ নিয়ে লিখেছেনও অনেক কিছু। রবীন্দ্রনাথের অনেক কদরও ছিল প্রাগে। প্রাগ শহরে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে রবীন্দ্রনাথের সম্মানে আয়োজন করা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা করেন, কবিতা পড়ে শোনান, গানও গেয়েছিলেন চেকদের সামনে। পিনপতন নিরবতার মধ্য দিয়ে হাজারখানেক শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে এই বাঙালির বক্তৃতা শুনেছিল সেদিন। রবীন্দ্রনাথকে লেসনিই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন চেকদের কাছে একজন বাঙালি কবি ও দার্শনিক হিসেবে।
রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয়বারের মতো প্রাগ এসেছিলেন ১৯২৬ সালের ৯ অক্টোবর। পেন (P.E.N) ক্লাবের আয়োজনে চেকোস্লোভাকের লেখকের এক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কবিকে। রবীন্দ্রনাথও সেসময় সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সাময়িকী ‘মডার্ন রিভিউ’র সম্পাদক রামনাথ চট্টোপাধ্যায়। রামনাথ কোলকাতা ফিরে তাঁর কাগজে এ নিয়ে বিশদ রচনাও লিখেছিলেন। ৭ দিনের এই সফরে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন আসরে বক্তৃতা দেয়া, কবিতা শোনানো ছাড়াও চেক ভাষায় অনুবাদ করা তার ‘ডাকঘর’ নাটকটিও মঞ্চস্থ করিয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের সাথে চেকের সম্পর্ক এই দুই সফরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় নি। যদিও চেকের সাথে মহাত্মা গান্ধী বা নেতাজি সুভাষ বসুর রাজনৈতিক যোগসূত্র ছিল, তথাপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই প্রথম ভারতীয়, যিনি চেকের দুর্দিনে তাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৩৮ সালে ‘মিউনিখ চুক্তি’র কারণে জার্মান প্রাগ দখল করে নিয়ে মিউনিখকে প্রাগের সাথে যুক্ত করার কারণে চেক যখন বিপর্যস্ত, তখন রবীন্দ্রনাথ আকাশবাণী থেকে সরাসরি বক্তৃতায় তদানিন্তন চেকোস্লাভাকিয়া (বর্তমানে চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়া আলাদা দু’টো দেশ)’র পক্ষ অবলম্বন করে বাণী দিয়েছিলেন। বাংলায় বলা এই বাণী কবির চেক বন্ধু লেসনি সাথে সাথে তর্জমা করে সম্প্রচার করেছিলেন। শুধু তাই নয় ১৯৩৮ সালে চেক প্রেসিডেন্ট এডভার্ড বেনেসকে পাঠানো এক তারবার্তায় কবি লিখেছিলেন,
I can only offer profound sorrow and indignation on behalf of India and of myself at the conspiracy of betrayal that has suddenly fling your country into a tragic depth of isolation…এর কয়েকদিন পর ১৭ আশ্বিন ১৩৪৫, বিজয়া দশমীর দিনে (১৯৩৮ সালে) রবীন্দ্রনাথ চেকদেরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন ‘প্রায়শ্চিত্ত’ কবিতাটি। কবিতাটি লিখে নিজেই ইংরেজিতে তর্জমা করে পাঠিয়েছিলেন তাঁর চেক বন্ধু লেসনির কাছে। কবিতার প্রথম স্তবকটি ছিল এরকম-
উপর আকাশে সাজানো তড়িৎ আলো
নিম্নে নিবিড় অতি বর্বর কালো
ভূমিগর্বের রাতে-
ক্ষুধাতুর আর ভুরিভোজীদের
নিদারুণ সংঘাতে
ব্যক্ত হয়েছে পাপের দুর্দহন,
সভ্যনামিক পাতালে যেথায়
জমেছে লুটের ধন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে হেলা করেনি প্রাগ-এর পারিষদ। তৈরী করেছে এই ঠাকুরোভা।
বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ প্রাগে এসে যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তার পাশেই একটা খোলা পার্ক। প্রাগের অ্যাভিনিউগুলোই এমন। মাঝখানে বিশাল পার্ক, তার দু’পাশে রাস্তা। এই পার্কে অনেকগুলো উঁচুগাছ, ফুলের বাগান। পথচারী বা নাগরিকদের হাঁটাচলার সরু সরু পথ, বেশ কয়েকটি বেঞ্চি বিছানো।
পাশে সারি সারি অট্টালিকা। প্রতিটি ৪ তলার সমান উঁচু। আমি জানি, এসব Row housing-এ প্রতি দু’টো তলা নিয়ে এক পরিবার থাকেন। প্রতি অ্যাপার্টমেন্টে ২ পরিবার। সামনে পিছে খোলা, পাশে কোন জানালা থাকে না। তার যে-কোনো একটিতে রবীন্দ্রনাথের থাকা হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর আগে। এ দালানগুলোর বয়স দেড়শ’ বছরের বেশি। হেরিটেজ সাইট। এখানে দালানের বাইরের অংশের কোনো পরিবর্তন আনা যায় না। তার মানে, ৯০ বছর আগে যে পরিবেশে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এখনও সেই দালান অবিকৃত। কিন্তু নতুন একটা সংযোগ এসেছে দালানের কোনাগুলোতে। এখানে লেখা আছে এই এভিনিউর নাম- THAKUROVA.
বাহ!
আমরা এসে নামি এই ঠাকুরোভায়।
সম্রাট ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাকে বলল, বস, এখানকার বাস স্টপ, মেট্রো স্টেশন, সবকিছুর নামই ঠাকুরোভা। এক নামে প্রাগের সবাই চেনে। আমি স্টেশনগুলোর ছবি নিয়ে আসি।
সম্রাট ক্যামেরা নিয়ে চলে যায় রাস্তার ওপারে। আমরা খোলা উদ্যানে অভিভূত হয়ে দেখতে থাকি রবীন্দ্র চত্বর, ঠাকুরোভার পার্ক।
প্রকৃতি প্রেমি কবি নিশ্চয়ই অবসর বিকেলে এই পার্কের গাছের ছায়ায় বসে বসে ভাবতেন। কখনো কখনো নিশ্চয়ই গানের সুর আওড়াতেন, ‘প্রাঙ্গনে মোর শিরিষ শাখায়, ফাগুন আসে কি উচ্ছ্বাসে… কে জানে।
২০০৪ সালের মে মাসে, এই চত্বরকে নতুন করে নাম করেন প্রাগের সিটি মেয়র। নাম দেন ‘ঠাকুরোভা’। বাংলায় রবীন্দ্র চত্বর বা ইংরেজিতে Tagore Square. আমরা এই পার্কে এসে দেখি, তার ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় একটি মাত্র গোলাকার স্তম্ভের ওপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি আবক্ষ মূর্তি রাখা। মূর্তিটি বানানোর কাজে চেক সরকার সাহায্য নিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স’ এর।
আমাদের পঞ্চপর্যটকের দল হুমড়ি খেয়ে পড়ি। আমাদের সাথে মোট ৭টি ক্যামেরা। দু’টো ভিডিও, ৫টি স্টিল। সম্রাটকে পেয়ে আমার গলায় জল এসেছে। ভারী ট্রাইপয়েড নিয়ে আমি ক্লান্ত। সম্রাটের ক্যামেরায় হাত ভালো। ভারী ক্যামেরা চালানো তার কাজ। আমার চার কেজি ওজনের ক্যামেরা তার কাছে হালকা মনে হয়। ওর হাতে ক্যামেরা গছিয়ে আমিও স্টিল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
আবক্ষ মূর্তিটির নিচে ইংরেজি হরফে লেখা RABINDRANATH THAKUR. ইংরেজরা ঠাকুরকে Tagore করে লিখেছিল বলে আমরা সবাই, এমনকি রবীন্দ্রনাথ নিজেও লিখতেন Tagore. কিন্তু চেকরা মাতৃভাষাকে সম্মান দিতে জানে। তাদের যা কিছু আছে, সবই চেক ভাষায়, ইংরেজি কোনো পরিভাষাও নাই। যদিও ইংরেজি বা রোমান হরফে তাদের বর্ণমালা (কয়েকটি সংযোজনসহ),তথাপিও তার উচ্চারণ তাদের মতোই।
স্তম্ভের উপরের দিকে গ্রানাইট পাথর খোদাই করে সমস্ত কিছু লেখা। তার ডানপাশে যা লেখা, তাতে এটুকু আমরা বুঝতে পারি, ‘বাংলাভাষার কবি, দার্শনিক ও তাত্ত্বিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জন্ম ১৮৬১ সালের ৬ মে, মৃত্যু ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট :
(6.5. 1861
BENGLASKY UMELEC
FILOSOF A TEORETIK
7.8.1941)
পেছনের অংশে নিশ্চয়ই তার কোনো কবিতার অংশ। আমরা তার মানে বুঝি না। এখানে লেখা
KDYZ ZAMKNES
DVERE PRED VSEMI
OMYLY, ZUSTANE
A NIMI I PRAVDA
R.THAKUR
লাভলু ভাই নিজের মতো বলেন, এখানে নিশ্চয়ই লেখা, ‘তখন কে বলে গো এই প্রভাতে নেই আমি।’ আমরা তার কথায় হেসে উঠি। শেষের লাইনে চজঅঠউঅ থাকায় এমন মনে হয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়ি না। আমরা এর তর্জমা করার জন্য অস্থির হয়ে যাই। সম্রাট এখানে এসেছে কয়েক মাস হলো। সে এর মধ্যে চেক ভাষা বলতে পারে। লিখতে ও পড়তে তার সমস্যা হয়। সম্রাট নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়ে একজনকে ডেকে আনলো। তিনি এটা পড়ে ইংরেজিতে আমাদের বলেন, এখানে লেখা আছে-
‘ÔWhen you lock the door, in front of every mistakes,
There were be left only truth
Rabindranath Thakur-
কিন্তু এই ইংরেজিতেও আমাদের মন ভরে না। আমি ফোন করি খালেদ ভাইকে। ড. খালেদ হোসাইন কবি এবং অধ্যাপক। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তাঁদের অনেক জানাশোনা। মূল ইংরেজির একটা বাংলা তর্জমা করে দেন আমাকে। বলেন, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,
‘দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি
সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?’
বাহ! থ্যাংক ইউ খালেদ ভাই। এর মধ্যে একটা বিশাল ভুল আমাদের চোখে এসে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের এই আবক্ষ মূর্তিটির নিচে ভুল তথ্য দেয়া আছে। যেটুকু চেক আমরা বুঝি না, তার মানে ধরতে পারি। অনেকটা কথা না বুঝলেও সুর অনুধাবন করার মতো। ওখানে লেখা :
NOSITEL
NOBELOVY CENY
ZA LITERATURU
1931
মানে? সাহিত্যে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৩১?
এটা কি করে হয়! রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান ১৯১৩ সালে। ১৩কে উল্টিয়ে লিখলে ৩১ হয়। যে ব্যাটা গ্রানাইট খোদাই করে এই সালটা লিখেছে, সে ভুল করেছে। কিন্তু এই স্তবকটি বসানোর সময় ভারতীয় ডিপ্লোমেটও ছিলেন। অহংকারের সাথে তিনি (রমেস চন্দ্র, ২০০৪ সালে প্রাগে নিযুক্ত ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) তার ব্লগে এই আবক্ষ মূর্তিটি স্থাপনের কথা বলেছেনও। কিন্তু কী করে তার চোখের সামনে এত বড়ো ভুল রয়ে গেল এবং বিগত ৭ বৎসর ধরে অগনিত দর্শক এই ভুল তথ্যটি ধারণ করছেন, তা নিয়ে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। পঞ্চপর্যটকের দল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়, বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাস এবং প্রাগের মেয়রের বরাবরে ই-মেইল করবে এবং এই সনটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানাবে।
ঠাকুররোভা দেখাটা একটা ‘মাস্ট সি’ সাইট হবার কারণে দুপুরের খাওয়া হয়ে ওঠে নি। ৬টা বেজে গেছে। প্রাগে সূর্য ডোবে ৮ টায়। বাংলাদেশ সময় এখন রাত ১০টা। আমাদের দুপুরের খাবারের জন্য সম্রাট বাঙালি রেস্টুরেন্ট ঠিক করে রেখেছে। দু’ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে পৌঁছাতে হবে রেল স্টেশনে। আমরা এখান থেকে যাবো পোলান্ড দ্বিতীয় দফায়। আটটা সতেরো মিনিটের ট্রেন আমাদের নিয়ে যাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসহ স্মৃতি বিজড়িত অ্যাশউইচ আর স্যচনোভিতসে শহরে। পাশে আমাদের গাড়ি অপেক্ষা করছে।এক ঘণ্টার জন্য যাকে ঠিক করা হয়েছিল, সে বলল এর মধ্যে আড়াই ঘণ্টা সময় পার হয়ে গেছে।
আমাদের দেখাদেখি শেষ। কিন্তু কেউই এ জায়গাটি ছেড়ে যেতে চাইছে না। ঠিক হলো রবিঠাকুরকে নিয়ে পঞ্চপর্যটক একটা ছবি তুলবে। পাঁচজন এক লাইনে দাঁড়াবে, মাঝখানে রবীন্দ্রনাথও থাকবেন। ছয়জনের গ্রুপ ছবি।
কিন্তু এনায়েত ভাই কিছুতেই নড়ছেন না। তিনি বলছেন, রবিঠাকুরকে একটা গান না শুনিয়ে তিনি প্রাগ ছাড়বেন না। বলি, ধরেন আপনি, তাড়াতাড়ি শেষ করেন।
এনায়েত ভাই গান ধরেন,
শুধু তোমার বাণী নয় গো হে বন্ধু,হে প্রিয়;
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার, পরশখানি দিও।
আমরা ভ্যানে উঠে বসি। এনায়েত ভাই ঠাকুরোভাতে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটির পাশে গান গাইতে থাকেন।
প্রবন্ধ পাঠে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ হলাম। মাননীয়
লেখক মহাশয়কে অজস্র ধন্যবাদ। তবে একটি
বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারছি না। ‘মর্ডান রিভিউ’ এর সম্পাদক “রামনাথ চট্টোপাধ্যায়” এর পরিবর্তে” রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়” হবে। সংশোধনী টি তথ্যের দিক থেকে অভিপ্রেত।